ভবিষ্যতে
ডিজিটাল তথ্য জমা রাখার বড় ধরনের সংরক্ষণাগার হতে পারে মানুষের শরীর।
মানুষের ডিএনএতে তথ্য সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট
পিসি ম্যাগ। ‘নেচার’ সাময়িকীর সাম্প্রতিক
সংখ্যায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধে গবেষক নিক
গোল্ডম্যান ও এডুইন বার্নি তাঁদের সফলতার কথা জানিয়েছেন।
গবেষকদের দাবি, তাত্ত্বিকভাবে এক কাপ ডিএনএর মধ্যে ১০ কোটি ঘণ্টার হাই ডেফিনেশন বা এইচডি প্রযুক্তির ভিডিও তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব। এ জন্য তথ্যকে ডিএনএ কোড হিসেবে তৈরি করতে হয়।
ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড বা ডিএনএ একটি নিউক্লিক অ্যাসিড। এ অ্যাসিড জীবদেহের গঠন ও কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে। সব জীবের ডিএনএ জেনোম থাকে। কোষে ডিএনএর প্রধান কাজ তথ্য সংরক্ষণ করা। গবেষকেরা জানিয়েছেন, ডিএনএ কোডে থাকা তথ্যের জন্যই আমরা মানুষ। তথ্য সংরক্ষণাগার হিসেবে ডিএনএতে অনেক জটিল জৈবিক তথ্য রাখা সম্ভব। তবে ডিজিটাল তথ্য রাখার বিষয়টি জটিল।
সম্প্রতি ইউরোপিয়ান বায়োইনফরমেটিকস ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা ডিএনএতে ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণ ও তথ্য উদ্ধারের একটি উপায় খুঁজে পেয়েছেন। গবেষকেরা ডিএনএতে ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছিলেন।
গোল্ডম্যান বলেন, ‘তথ্য সংরক্ষণের একটা দারুণ পদ্ধতি ডিএনএ। আমরা হাজার বছরের পুরোনো তথ্য উদ্ধার করতে পারি ডিএনএ থেকে। এটা ক্ষুদ্র, ঘন আর তথ্য সংরক্ষণে কোনো শক্তি খরচ করতে হয় না। তাই এ পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষণও সহজ।’
গবেষকেরা জৈব বিশ্লেষক যন্ত্রপাতি নির্মাতা অ্যাজিলেন্ট টেকনোলজির গবেষকেদের সঙ্গে কাজ করছেন। ডিএনএতে সংরক্ষণ করা তথ্য ১০ হাজার বছরেরও বেশি সময় টিকে থাকবে বলে আশা করেন তাঁরা। এতে ভিডিও, এমপি থ্রি, টেক্সট, পিডিএফ—যেকোনো ফরম্যাটের তথ্য কোড আকারে সংরক্ষণ করা যায়। ডিএনএতে শেকসপিয়ারের সনেট, একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিবেদন এবং মার্টিন লুথার কিংয়ের ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’ ভাষণের অংশবিশেষ সংরক্ষণ করে দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ডিএনএতে সংরক্ষিত ওই তথ্যের ১০০ ভাগই পরে পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন তাঁরা। তাঁদের ভাষ্য, ডিএনএ পড়তে পারে এমন যন্ত্র ব্যবহার করে ডিএনএ কোড থেকে সে তথ্য উদ্ধার করাও সম্ভব।
গবেষকদের ভাষ্য, এখনই মানুষের শরীরে তথ্য রাখা বা হার্ডডিস্ক বা অন্যান্য মেমোরি কার্ড ছুড়ে ফেলার সময় আসেনি। এ নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন তাঁরা। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে ডিএনএ হার্ডওয়্যার বাজারে আনার পরিকল্পনাও সেরে রেখেছেন গবেষকেরা।
Stay for more info It News BD 24/7
গবেষকদের দাবি, তাত্ত্বিকভাবে এক কাপ ডিএনএর মধ্যে ১০ কোটি ঘণ্টার হাই ডেফিনেশন বা এইচডি প্রযুক্তির ভিডিও তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব। এ জন্য তথ্যকে ডিএনএ কোড হিসেবে তৈরি করতে হয়।
ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড বা ডিএনএ একটি নিউক্লিক অ্যাসিড। এ অ্যাসিড জীবদেহের গঠন ও কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে। সব জীবের ডিএনএ জেনোম থাকে। কোষে ডিএনএর প্রধান কাজ তথ্য সংরক্ষণ করা। গবেষকেরা জানিয়েছেন, ডিএনএ কোডে থাকা তথ্যের জন্যই আমরা মানুষ। তথ্য সংরক্ষণাগার হিসেবে ডিএনএতে অনেক জটিল জৈবিক তথ্য রাখা সম্ভব। তবে ডিজিটাল তথ্য রাখার বিষয়টি জটিল।
সম্প্রতি ইউরোপিয়ান বায়োইনফরমেটিকস ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা ডিএনএতে ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণ ও তথ্য উদ্ধারের একটি উপায় খুঁজে পেয়েছেন। গবেষকেরা ডিএনএতে ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছিলেন।
গোল্ডম্যান বলেন, ‘তথ্য সংরক্ষণের একটা দারুণ পদ্ধতি ডিএনএ। আমরা হাজার বছরের পুরোনো তথ্য উদ্ধার করতে পারি ডিএনএ থেকে। এটা ক্ষুদ্র, ঘন আর তথ্য সংরক্ষণে কোনো শক্তি খরচ করতে হয় না। তাই এ পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষণও সহজ।’
গবেষকেরা জৈব বিশ্লেষক যন্ত্রপাতি নির্মাতা অ্যাজিলেন্ট টেকনোলজির গবেষকেদের সঙ্গে কাজ করছেন। ডিএনএতে সংরক্ষণ করা তথ্য ১০ হাজার বছরেরও বেশি সময় টিকে থাকবে বলে আশা করেন তাঁরা। এতে ভিডিও, এমপি থ্রি, টেক্সট, পিডিএফ—যেকোনো ফরম্যাটের তথ্য কোড আকারে সংরক্ষণ করা যায়। ডিএনএতে শেকসপিয়ারের সনেট, একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিবেদন এবং মার্টিন লুথার কিংয়ের ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’ ভাষণের অংশবিশেষ সংরক্ষণ করে দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ডিএনএতে সংরক্ষিত ওই তথ্যের ১০০ ভাগই পরে পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন তাঁরা। তাঁদের ভাষ্য, ডিএনএ পড়তে পারে এমন যন্ত্র ব্যবহার করে ডিএনএ কোড থেকে সে তথ্য উদ্ধার করাও সম্ভব।
গবেষকদের ভাষ্য, এখনই মানুষের শরীরে তথ্য রাখা বা হার্ডডিস্ক বা অন্যান্য মেমোরি কার্ড ছুড়ে ফেলার সময় আসেনি। এ নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন তাঁরা। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে ডিএনএ হার্ডওয়্যার বাজারে আনার পরিকল্পনাও সেরে রেখেছেন গবেষকেরা।
Stay for more info It News BD 24/7
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন