শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

যে কারণে মানুষ বিলুপ্ত হতে পারে


‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই’। যুগ যুগ ধরে সব মানুষের চাওয়া তাই। কিন্তু এই চাওয়া ছাপিয়ে প্রশ্ন উঠছে আমরা কী বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে? কী সেই কারণ, যার জন্য নিশ্চিহ্ন হতে পারে মানবসভ্যতা? বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই অজানা তথ্য।
মানুষের জন্য হুমকির সবচেয়ে ভীতিকর কারণগুলো অনুসন্ধান করছে আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল। তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে দুর্যোগ আর প্রযুক্তির অপব্যবহারের আশঙ্কার কথা। গবেষকেরা বলছেন, বিশ্বের ইতিহাসে এটাই প্রথম শতাব্দী, যখন মানুষের অস্তিত্বের সংকট সবচেয়ে বেশি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিউচার অব হিউম্যানিটি ইনস্টিটিউটে গবেষকেরা এ গবেষণা করছেন। মানবসভ্যতা টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারকদের বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেন তাঁরা। গবেষক নিক বসট্রোম জানিয়েছেন, আমরা যদি ভুল করে বসি, তবে এটাই হতে পারে মানুষের জন্য শেষ শতাব্দী।

মানুষের জন্য সবচেয়ে হুমকি
গবেষকেরা বলছেন, মানুষের বিপদ ঘটতে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে। মহামারি বা বড় ধরনের দুর্যোগের কবলে পড়ে মানবসভ্যতা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। তবে আশার কথা হচ্ছে, মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে সব সময় লড়ে টিকে থেকেছে। তাই দুর্যোগে মানুষের একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম। এ ছাড়া আগামী এক শতাব্দীর মধ্যে ভয়াবহ উল্কাপাত বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাতের আশঙ্কা নেই।
গবেষকেরা জানান, গত শতকে দুটি বিশ্বযুদ্ধ, পারমাণবিক বোমা ও মারাত্মক ভাইরাসের ধকল কাটিয়ে মানুষ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পেরেছে। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার সবচেয়ে বড় আশঙ্কার কথা। প্রযুক্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে অনিভজ্ঞ বর্তমান মানুষের ভবিষ্যত্ এখন হুমকির মুখে।

অভিজ্ঞতাবিহীন চালক
প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির সম্ভাব্য পরিণতির নিয়ন্ত্রণ মানুষের সক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। শিশুর হাতে ভয়ংকর অস্ত্র উঠে এলে যেমন ভয়ের, আধুনিক প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বে মানবসভ্যতার টিকে থাকার ক্ষেত্রে তেমন ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে। অক্সফোর্ডের গবেষক নিক বসট্রোম জানান, আগামী শতাব্দীতে আমাদের হুমকি আসতে পারে সিনথেটিক বায়োলজি, ন্যানোটেকনোলজি ও যান্ত্রিক বুদ্ধিমত্তার অপরিমিত গবেষণা থেকে। চিকিত্সাক্ষেত্রে বড় সম্ভাবনার কথা জানানো মানুষের জিন প্রকৌশল ভবিতব্য নিয়ে বড়ই দুশ্চিন্তা তাঁর। তিনি মনে করেন, ন্যানোটেকনোলজি থেকেও আসতে পারে বিপদ। ন্যানোটেকনোলজির অপব্যবহারে বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে মানব সভ্যতা নিশ্চিহ্ন হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। ন্যানোটেকনোলজির অব্যবহার রোধ করা এখন দেশে দেশে চ্যালেঞ্জ। হুমকির আরেক নাম কৃত্রিম বুদ্ধিমান যন্ত্র। যন্ত্র-অনিভজ্ঞ মানুষের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমান যন্ত্রের আচরণ থেকেও সমূহ বিপদের আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা।

সিদ্ধান্তে বিবেচনা-অবিবেচনা
প্রযুক্তির ব্যবহারে কখনো ইচ্ছাকৃত ধ্বংস জাগানোর মতো ঘটনা ঘটাতে পারে অবিবেচক কোনো ক্ষমতাধর। আবার অনিচ্ছাকৃত ভুল সিদ্ধান্তও মানবসভ্যতার জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। জিন পরিবর্তন করে মানুষের ক্ষমতাকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, আমাদের হাতে থাকা অসীম ক্ষমতাধর প্রযুক্তি-যন্ত্র আমাদের অত্যন্ত সচেতনভাবে পরিচালনা করা উচিত। আমাদের জানার বাইরে যেসব প্রযুক্তি, সে সব ব্যবহারে সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ।

যন্ত্র যদি বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে
মানুষ নিজের সুবিধার জন্য যন্ত্রের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পরীক্ষা করেছে। ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমান যন্ত্র-মানব মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। গবেষকেরা আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে কম্পিউটার বা যন্ত্র-মানব নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আরও শক্তিশালী যন্ত্র-মানব প্রজন্ম তৈরি করতে সক্ষম হবে। তারা নিজে নিজেকে নতুন করে তৈরি করে নিতে পারবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমানদের বুদ্ধিবৃত্তি মানুষের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে মানবসভ্যতার টিকে থাকার পক্ষে বড় হুমকি হয়ে দেখা দেবে।
এ প্রসঙ্গে গুগলের সাবেক একজন কর্মকর্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ মি. ডেউই বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বর্তমানে ক্ষুদ্র যন্ত্রগুলোকে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন করে তুলছে। ভবিষ্যতে বায়ো টেকনোলজি ও ন্যানোটেকনোলজি কাজে লাগিয়ে এমন কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমান তৈরি হতে পারে, যা মানুষের টিকে থাকার জন্য ভয়ানক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

অনিচ্ছাকৃত ভুল, নাকি ইচ্ছাকৃত সন্ত্রাস?
রয়্যাল সোসাইটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যোতির্বিদ লর্ড রিজ ‘সিনথেটিক বায়োলজি’ নিয়ে তাঁর দুশ্চিন্তার কথা জানান। তাঁর মতে, নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ঝুঁকিও বাড়ছে। আমাদের মধ্যে সহনশীলতার অভাব, জৈবপ্রযুক্তির অদূরদর্শী ব্যবহার আমাদের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। বর্তমান বিশ্বে অনিচ্ছাকৃত ভুলের পাশাপাশি এখন বেড়ে গেছে ইচ্ছাকৃত সন্ত্রাসী কার্যক্রম।
অক্সফোর্ডের গবেষকদের মতে, প্রযুক্তির ব্যবহার ও আমাদের বোঝাপড়ার মধ্যে সত্যিকারের একটি দূরত্ব থেকে গেছে। এখনো আমাদের দায়িত্ব নিয়ে ভাবনা শিশুর পর্যায়ে। আমাদের অস্তিত্বের হুমকি হয়ে দাঁড়ানো বিপদগুলো নিয়ে আমরা মোটেও প্রস্তুত নই। আমাদের টিকে থাকতে হলে সহনশীল হতে হবে, প্রযুক্তির ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে।

Photo: যে কারণে মানুষ বিলুপ্ত হতে পারে -

‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই’। যুগ যুগ ধরে সব মানুষের চাওয়া তাই। কিন্তু এই চাওয়া ছাপিয়ে প্রশ্ন উঠছে আমরা কী বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে? কী সেই কারণ, যার জন্য নিশ্চিহ্ন হতে পারে মানবসভ্যতা? বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই অজানা তথ্য।
মানুষের জন্য হুমকির সবচেয়ে ভীতিকর কারণগুলো অনুসন্ধান করছে আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল। তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে দুর্যোগ আর প্রযুক্তির অপব্যবহারের আশঙ্কার কথা। গবেষকেরা বলছেন, বিশ্বের ইতিহাসে এটাই প্রথম শতাব্দী, যখন মানুষের অস্তিত্বের সংকট সবচেয়ে বেশি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিউচার অব হিউম্যানিটি ইনস্টিটিউটে গবেষকেরা এ গবেষণা করছেন। মানবসভ্যতা টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারকদের বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেন তাঁরা। গবেষক নিক বসট্রোম জানিয়েছেন, আমরা যদি ভুল করে বসি, তবে এটাই হতে পারে মানুষের জন্য শেষ শতাব্দী।

মানুষের জন্য সবচেয়ে হুমকি
গবেষকেরা বলছেন, মানুষের বিপদ ঘটতে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে। মহামারি বা বড় ধরনের দুর্যোগের কবলে পড়ে মানবসভ্যতা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। তবে আশার কথা হচ্ছে, মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে সব সময় লড়ে টিকে থেকেছে। তাই দুর্যোগে মানুষের একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম। এ ছাড়া আগামী এক শতাব্দীর মধ্যে ভয়াবহ উল্কাপাত বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাতের আশঙ্কা নেই।
গবেষকেরা জানান, গত শতকে দুটি বিশ্বযুদ্ধ, পারমাণবিক বোমা ও মারাত্মক ভাইরাসের ধকল কাটিয়ে মানুষ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পেরেছে। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার সবচেয়ে বড় আশঙ্কার কথা। প্রযুক্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে অনিভজ্ঞ বর্তমান মানুষের ভবিষ্যত্ এখন হুমকির মুখে।

অভিজ্ঞতাবিহীন চালক
প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির সম্ভাব্য পরিণতির নিয়ন্ত্রণ মানুষের সক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। শিশুর হাতে ভয়ংকর অস্ত্র উঠে এলে যেমন ভয়ের, আধুনিক প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বে মানবসভ্যতার টিকে থাকার ক্ষেত্রে তেমন ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে। অক্সফোর্ডের গবেষক নিক বসট্রোম জানান, আগামী শতাব্দীতে আমাদের হুমকি আসতে পারে সিনথেটিক বায়োলজি, ন্যানোটেকনোলজি ও যান্ত্রিক বুদ্ধিমত্তার অপরিমিত গবেষণা থেকে। চিকিত্সাক্ষেত্রে বড় সম্ভাবনার কথা জানানো মানুষের জিন প্রকৌশল ভবিতব্য নিয়ে বড়ই দুশ্চিন্তা তাঁর। তিনি মনে করেন, ন্যানোটেকনোলজি থেকেও আসতে পারে বিপদ। ন্যানোটেকনোলজির অপব্যবহারে বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে মানব সভ্যতা নিশ্চিহ্ন হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। ন্যানোটেকনোলজির অব্যবহার রোধ করা এখন দেশে দেশে চ্যালেঞ্জ। হুমকির আরেক নাম কৃত্রিম বুদ্ধিমান যন্ত্র। যন্ত্র-অনিভজ্ঞ মানুষের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমান যন্ত্রের আচরণ থেকেও সমূহ বিপদের আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা।

সিদ্ধান্তে বিবেচনা-অবিবেচনা
প্রযুক্তির ব্যবহারে কখনো ইচ্ছাকৃত ধ্বংস জাগানোর মতো ঘটনা ঘটাতে পারে অবিবেচক কোনো ক্ষমতাধর। আবার অনিচ্ছাকৃত ভুল সিদ্ধান্তও মানবসভ্যতার জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। জিন পরিবর্তন করে মানুষের ক্ষমতাকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, আমাদের হাতে থাকা অসীম ক্ষমতাধর প্রযুক্তি-যন্ত্র আমাদের অত্যন্ত সচেতনভাবে পরিচালনা করা উচিত। আমাদের জানার বাইরে যেসব প্রযুক্তি, সে সব ব্যবহারে সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ।

যন্ত্র যদি বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে
মানুষ নিজের সুবিধার জন্য যন্ত্রের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পরীক্ষা করেছে। ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমান যন্ত্র-মানব মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। গবেষকেরা আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে কম্পিউটার বা যন্ত্র-মানব নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আরও শক্তিশালী যন্ত্র-মানব প্রজন্ম তৈরি করতে সক্ষম হবে। তারা নিজে নিজেকে নতুন করে তৈরি করে নিতে পারবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমানদের বুদ্ধিবৃত্তি মানুষের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে মানবসভ্যতার টিকে থাকার পক্ষে বড় হুমকি হয়ে দেখা দেবে।
এ প্রসঙ্গে গুগলের সাবেক একজন কর্মকর্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ মি. ডেউই বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বর্তমানে ক্ষুদ্র যন্ত্রগুলোকে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন করে তুলছে। ভবিষ্যতে বায়ো টেকনোলজি ও ন্যানোটেকনোলজি কাজে লাগিয়ে এমন কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমান তৈরি হতে পারে, যা মানুষের টিকে থাকার জন্য ভয়ানক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

অনিচ্ছাকৃত ভুল, নাকি ইচ্ছাকৃত সন্ত্রাস?
রয়্যাল সোসাইটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যোতির্বিদ লর্ড রিজ ‘সিনথেটিক বায়োলজি’ নিয়ে তাঁর দুশ্চিন্তার কথা জানান। তাঁর মতে, নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ঝুঁকিও বাড়ছে। আমাদের মধ্যে সহনশীলতার অভাব, জৈবপ্রযুক্তির অদূরদর্শী ব্যবহার আমাদের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। বর্তমান বিশ্বে অনিচ্ছাকৃত ভুলের পাশাপাশি এখন বেড়ে গেছে ইচ্ছাকৃত সন্ত্রাসী কার্যক্রম।
অক্সফোর্ডের গবেষকদের মতে, প্রযুক্তির ব্যবহার ও আমাদের বোঝাপড়ার মধ্যে সত্যিকারের একটি দূরত্ব থেকে গেছে। এখনো আমাদের দায়িত্ব নিয়ে ভাবনা শিশুর পর্যায়ে। আমাদের অস্তিত্বের হুমকি হয়ে দাঁড়ানো বিপদগুলো নিয়ে আমরা মোটেও প্রস্তুত নই। আমাদের টিকে থাকতে হলে সহনশীল হতে হবে, প্রযুক্তির ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন